নাজিম হাসান, রাজশাহী থেকে : রাজশাহীর তানোরে কৃষি ডিপ্লোমা ইনিস্টিটিউটে নেই কোন শিক্ষক, হয় না কোনো ক্লাস তারপরও প্রথম সেমিস্টার ও পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গত সোমবার থেকে তানোর (চাপড়া) মহিলা ডিগ্রী কলেজের এককক্ষে নেয়া হচ্ছে এ পরীক্ষা। এতে নকলমুক্ত পরীক্ষার পরিবর্তে নকলযুক্ত পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী ওই কলেজে প্রতিষ্ঠা করেন কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেকের কাছ থেকে নিয়োগ দেয়ার নাম করে আদায় করেন কাড়ি কাড়ি টাকা। আবার চাপের মুখে পড়ে অনেকের টাকা ফেরত দিতে হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো ধরনের ক্লাস নেয়া হয় না। এমনকি চাপড়া ফুটবল মাঠের দক্ষিণে মার্কেটের একটি ঘরে কম্পিউটার নিয়ে শুধুমাত্র একজন নারী বসে থাকেন। নেই কোন আলাদা ভবন।
সোমবার এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের পূর্ব সাইডে ছাপড়া টিনের ঘরে নেয়া হচ্ছে পরীক্ষা। কক্ষের ভিতরে ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসেন ওই কর্মকর্তা। শুরু হয় গাইড বের করে পরীক্ষা। এমনকি বোর্ডেও পাঠানো হয় না খাতা। তানোর থানা মোড়ে বৃষ্টি কম্পিউটারে জালিয়াতির মাধ্যমে অনলাইনে নম্বর দিয়ে পাঠানো হয় খাতা। এছাড়াও প্রথম-দ্বিতীয় সেমিস্টারের খাতা যায় না বোর্ডে। অধ্যক্ষ নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে নম্বর দিয়ে দেন।
২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৬ বছরের মধ্যে কোন শিক্ষক নেই কৃষি ডিপ্লোমাতে। চতুর্থ-পঞ্চম সেমিস্টারের খাতা যায় বোর্ডে। ৪ বছরের কোর্সে বছরে ৮ হাজার টাকা করে আদায় করছেন অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী এবং প্রবেশ পত্রের জন্যে ৫০০/- টাকা, ব্যবহারিক-এর জন্যে ৫০০/- টাকা করে আদায় করে থাকেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী জানান, এবারে প্রথম ও পঞ্চম সেমিস্টার মিলে ৪১ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার খাতা বোর্ডে যায় না। কোনো শিক্ষক নেই, ভবন নেই, কিভাবে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে, তিনি অস্বীকার করে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।
নেই কোনো শিক্ষক, হয়না ক্লাস, তারপরও পরীক্ষা
Jan ১১, ২০১৭অন্যান্যComments Off on নেই কোনো শিক্ষক, হয়না ক্লাস, তারপরও পরীক্ষাLike

Previous Postবৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
Next Postরাজশাহীতে শিবিরসহ গ্রেফতার ৪৮